লিয়াকত ও আমিনুলের ফাঁসি

রায়ে সন্তুষ্ট, কিন্তু খুশি নন লাখাইবাসী

  • কাজল সরকার, হবিগঞ্জ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৮, ০২:৪৫ পিএম
মো. লিয়াকত আলী

হবিগঞ্জ : কলঙ্ক মোচন এবং জাতীয় দায় শোধের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুসলীম লীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি যুদ্ধাপরাধী মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার এ রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ। ট্রাইব্যুনালের অন্য বিচাপতিরা হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও সদ্য বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি পলাতক এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)-কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ফাঁসির দণ্ডাদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও পলাতক থাকায় খুশি নন এলাকাবাসী। তাদের দাবি এই সরকারের অন্যতম নির্বাচনী ওয়াদা ছিল একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা। এই পর্যন্ত প্রায় সকল শীর্ষ যুদ্ধপরাধীর বিচার হয়েছে, অনেকের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজাকার লিয়াকত আলীসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। কিন্তু তারা দুজনেই এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে। যা দুঃখজনক।

এলাকাবাসী বলছেন, যদি আসামিরা পলাতক থাকে তাহলে এ রায়ের কোনো মূল্য নেই। এই রায় দেয়া আর না দেয়া সমান কথা। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার দাবি তাদের।

এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অমরেন্দ্র রায় বলেন- ‘দুই রাজাকারের ফাঁসি হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। কিন্তু তারা দু’জনেই পলাতক থাকায় সেই খুশি অনেকটাই অম্লান। তাই দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী হরি দাশ রায় বলেন, ‘রাজাকার আলবদরের সহযোগিতায় ১২৭ জনকে হত্যা করেছে। সরকার সুযোগ তৈরি করেছে বলেই আমি মামলা করেছি। আমরা বিচারে খুশি কিন্তু আাসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় অনেকটাই হতাশাগ্রস্ত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর