বাড়ছে শীত, কমছে সবজির দাম

  • ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৮, ০৫:০৩ পিএম

দিনাজপুর : সীমান্তের কোলঘেষা উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ এর আশপাশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেকে বসতে শুরু করেছে শীত। একই সঙ্গে উৎপাদন ও আমদানি বাড়ায় শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ফুলবাড়ী বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহাজামাল বলেন, স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত উৎপাদন ও আমদানি থাকায় বাজারে সবজির দাম কমছে। কার্তিক প্রায় শেষ হতে চলেছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ এবং পৌষ মাসেই শীতকালীন শস্য বেশি আসে বাজারে। ফলে এ সময় সব ধরনের সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই থাকে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে,গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

বর্তমানে চলতি শীতকালীন সবজি হিসেবে প্রতি কেজি পাতা  পিয়াজ,৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা, ফুলকপি, ৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২ টাকা, বাঁধা কপি ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০ টাকা, সীম ৫০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা, মুলা ১০ টাকা থেকে কমেছে হয়েছে ৪ টাকা, লাউ ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০ টাকা, করলা ৫০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০ টাকা, বটবটি ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৫ টাকা, পালং শাক ৫ থেকে কমে হয়েছে ২ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৭০ টাকা, শসা ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা, ওঁল ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো নতুন আলু বাজারে না ওঠায় আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজি চাষী করিম বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি উৎপাদন ও আমদানি বেশি হওয়ায় দাম অর্ধেক কমেছে। স্টোরের আলু শেষের পথে তবুও এবার নতুন আলু এখনো বাজারে দেখা মিলছে না তাই নতুন আলু আসার পূর্বে আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

এভাবে দাম যদি কমতে থাকে তাহলে লোকসানের হিসাব গুণতে হবে। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিন আগের চেয়ে বর্তমানে কাঁচা তরিতরকারির দাম কিছুটা কম। আরও কম হলে ভালো হতো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ টি এম হামীম আশরাফ বলেন, সবজি উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তারপরও কৃষক যে পরিমাণ মূল্য পাচ্ছে এতে করে তাদের লোকসান হওয়ার কথা নয়। তবে যারা আগাম সবজী চাষাবাদ করেছে তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশি লাভবান হচ্ছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর