তেলবাহী লরি ঝালাইকালে বিস্ফোরণ, সাংবাদিকসহ আহত ২

  • ফরহাদ খান, নড়াইল | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৮, ০৪:৩৫ পিএম
ছবি: সোনালীনিউজ

নড়াইল : জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশায় বিদ্যুৎ অফিসের পাশে তেলবাহী লরি ঝালাই দেয়ার সময় বিস্ফোরণে ঝালাইমিস্ত্রি বকুল ইসলাম (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বকুল লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তার হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। গুরুতর আহত বকুলকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। লরিটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে লরিতে তেমন একটা তেল ছিল না।

দুর্ঘটনার পর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লরির বিস্ফোরিত খন্ডাংশের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লোহাগড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিমুল হাসানের বাম পা কেটে গেছে। দুই হাঁটুতেও ব্যাথা পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এদিকে দুর্ঘটনার খবর শুনে তেলবাহী লরির মালিক লক্ষীপাশার মনিরুজ্জমানের স্ত্রী ঝুমা পারভীন (৪৫) অসুস্থ হয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
 
স্থানীয়রা জানান, তেলবাহী লরির পেছনের ঝালাইকৃত অংশটি বিস্ফোরণকালে ঝালাই দোকান থেকে উড়ে গিয়ে প্রায় সাড়ে ৩০০ ফুট দুরে নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের অপর প্রান্তে খালের মধ্যে গিয়ে পড়ে। লরির পেছনের অংশের সঙ্গে বকুলও খালের মধ্যে পড়ে যায়। এ ঘটনায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। বিস্ফোরণে লরির পেছনের অংশ উড়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে তেল পড়ে যায়। এ সময় লরির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর বিদ্যুৎলাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ঘণ্টাখানেক লোহাগড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আশেপাশের লোকজনসহ পথচারীরা রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। কারণ, দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই বিদ্যুৎ অফিস, বিভিন্ন ব্যবসা  প্রতিষ্ঠান, আবাসিক হোটেল, ক্লিনিক, বাসাবাড়িসহ ব্যস্ততম নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের অবস্থান। লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর