আজ আমতলী মুক্ত দিবস

  • এম আবু সাইদ খোকন, বরগুনা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮, ০৫:২৫ পিএম

বরগুনা : আজ ১৪ ডিসেম্বর আমতলী মুক্ত দিবস। ’৭১-এর ১২ ডিসেম্বর  মুক্তিবাহিনী নৌকায় করে গুলিশাখালী বাজারে ওঠে এবং এবং সেখান থেকে রাতে অস্থায়ী ক্যাম্প কুকুয়ার সরোয়ার্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে।

গলাচিপার মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রব মিয়ার নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর একটি দল এক হয়ে আমতলী থানায় অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

সে সময় আমতলী থানায় পাক বাহিনী ছিল না। থানায় ছিল ওসি রইস উদ্দিন ভূঁইয়া, কয়েকজন পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী।

আমতলী থানাকে বিনা যুদ্ধে মুক্ত করতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আসমত আলী আকন, ন্যাপ নেতা গাজী আমির হোসেন ও স্কুল-শিক্ষক দলিল উদ্দিন মিয়া মুক্তিবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেন। ১৩ ডিসেম্বর সকালে তারা ওসি রইস উদ্দিন ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।

ওসি শান্তিপূর্ণভাবে থানার দখল মুক্তিবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে তাদের মাধ্যমে চিঠি দেন। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনী থানার পূর্বপাশে চাওড়া নদীর অপর পাড়ে পালবাড়ী ও একে স্কুল সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয়। ওসি রইস উদ্দিন ভূঁইয়ার সমঝোতা পত্রটি ছিল একটি ফাঁদ।

বিষয়টি টের পেয়ে মুক্তিবাহিনী রাতে ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে রইস উদ্দিন ভূঁইয়ার বাহিনী ব্যাপক হারে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

রাত ভর গুলি বিনিময়ের পর অবস্থা বেগতিক দেখে ওসি রইস উদ্দিন ও তার সঙ্গীরা সাদা পতাকা উত্তোলন করে ১৪ ডিসেম্বর সকালে আত্মসমর্পণ করে। ওই দিনই আমতলী থানা হানাদার মুক্ত হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর