নাটোরে নির্বাচনের মাঠে ভূতুড়ে সংবাদপত্র!

  • নাটোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৮:২৬ পিএম

নাটোর : নাটোরে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘প্রিয় নাটোর’ নামে চার পাতার আট পৃষ্ঠার একটি ভূতুড়ে রঙ্গিন ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র বিলি করা হচ্ছে। উন্নতমানের রোল অফসেট মেশিনে ছাপানো সরকারি ছাড়পত্রবিহীন কাগজটির নামের নিচেই লেখা রয়েছে ‘ছোট কাগজ, বড় খবর’। দুই টাকা দামের এই কাগজটি বিনামূল্যে হকারদের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার ভেতরে ঢুকিয়ে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় প্রিয় গ্রুপের পক্ষে এর সম্পাদক আব্দুল হালিম ও প্রকাশক শরিফুল ইসলাম আকন্দ এই ট্যাবলয়েড পত্রিকাটি আলো প্রিন্টার্স থেকে ছাপানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কাগজটিতে বার্তা, বাণিজ্য ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। নাটোরের বড় হরিশপুর কিন্তু বড় হরিশপুরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে নাটোর জেলার কোথাও এমন কোনো পত্রিকার অফিস বা প্রেস নেই। বাস্তবে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই একজন হকার জানান, প্রতিদিন সকালে বস্তায় করে পত্রিকাটি তাদের কাছে চলে আসে কিন্তু কোথাও থেকে কিভাবে আসে তারা কিছুই জানেন না। এতে মূলত নাটোরের চারটি আসনের ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পক্ষে ইতিবাচক ও সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন ফলাও করে প্রকাশ করা হচ্ছে। ওই কাগজের একটি সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘লালপুরে মনজুরুল ইসলাম বিমলের গাড়িতে হামলা, সন্দেহের তীর বিএনপির দিকে’ শিরোনামে নাটোর-১ ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়।

নাটোর-২ আসনের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ছবি ব্যঙ্গ করে ‘আটকে গেল দুলুর প্রার্থিতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। রহস্যজনক ওই পত্রিকার একটি সংখ্যায় নাটোর-৩ সিংড়া আসনে বিএনপির প্রার্থী দাউদার মাহমুদ সম্পর্কে বেশ কিছু অসত্য ও বানোয়াট তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করার পাশপাশি প্রতিমন্ত্রী হয়েও আয় বাড়েনি পলকের শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বিশিষ্টজনরা মনে করছেন ছাড়পত্রবিহীন এ ধরনের সংবাদপত্রটি নির্বাচনে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করছে তাই অবিলম্বে এ ধরনের ভূতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর