শরণখোলায় শিক্ষকের পিটুনিতে ছাত্রী হাসপাতালে!

  • শরণখোলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
আহত শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া

বাগেরহাট : জেলার শরণখোলায় শিক্ষকের পিটুনিতে ৯ম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জান্নাতুল মাওয়া (১৪) নামের এক ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে।

শিক্ষার্থীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে ও ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাওয়াসহ তার দুই সহপাঠি সাদিয়া ও মোকারিমা ওই দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে কলম কিনতে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে যায়। এতে তাদের দেরী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম সহিদ খান ওই তিন বান্ধবীকে বেধাড়ক পিটুনি শুরু করে। এতে মাওয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কাঁদতে কাঁদতে তার বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদারের দোকানে যায়। মেয়েকে মারধরের বিষয়টি জানতে স্কুলে গেলে জাহাঙ্গীরকে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ওই শিক্ষক।

পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য মাওয়াকে বিকেলে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার বাবা জাহাঙ্গীর। বিষয়টি জানতে পেরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই সময় কর্মরত উপ-স্বাস্থ্য সহকারী বিশ্বজিত মজুমদারের যোগসাজসে তাৎক্ষণিক ভর্তি বাতিল করে সামান্য ওষুধ কিনে দিয়ে জোর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে মাওয়া বাড়িতে গেলে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে একই দিন রাত ১০টার দিকে তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি তার পরিবার। মাওয়া বলেন, ওই শিক্ষক তাদের তিনজনকে শুধু শুধু মারপিট করেছেন। তাকে মোটা লাঠি দিয়ে দু’দফায়  ১২ থেকে ১৫টি পিটুনি দিয়েছেন। এতে তার পাজরে বেশ আঘাত লাগে। তাই নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তার।

অপরদিকে, মাওয়ার বাবা মো.জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন ,মেয়েকে মারার খবর পেয়ে আমি স্কুলে গেলে আমাকে ও ওই শিক্ষক লাঞ্চিত করেন। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যাপারে শিক্ষক শহিদ খান বলেন, স্কুলের এ্যাসেমবিলিতে ওই তিন ছাত্রী অংশ না নেওয়ায় ২/১টি পিটুনি দিয়ে সাবধান করেছি। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।

এ ছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বলেন, বিষয়টি আমি জানি, তবে এটা খুব গুরুত্ব দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা নয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর