প্রসূতির পেটে সুঁই রেখেই সেলাই!

  • পিরোজপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ১০:৫১ এএম

ঢাকা: এক প্রসূতির সন্তান প্রসবের পর পেটে ভাঙা সুঁই রেখেই সেলাই সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকাদের বিরুদ্ধে।

প্রসূতি সোনিয়া বেগম নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব জগন্নাথকাঠি মনির হোসেনের স্ত্রী।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোনিয়া বেগম গত শনিবার নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স গৌরি ও সুমিত্রার বিরুদ্ধে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সোনিয়া বেগম জানান, গত ৪ মার্চ সন্তান প্রসবের জন্য তিনি নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরদিন (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা গৌরি ও সুমিত্রার তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারিতে (স্বাভাবিক প্রসব) মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।

প্রসবকালীন প্রসবস্থানে কাটাছেঁড়া করা হয় এবং সন্তান প্রসবের পর সেবিকা গৌরি কাটাস্থানে সেলাই করার সময় ভাঙা সুঁই ভেতরে রেখেই ব্যান্ডেজ করেন।

তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্রমেই ব্যথা বাড়তে থাকে। এতে সুস্থতার পরিবর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সোনিয়া এ নিয়ে ওই হাসপাতালের ডা. আসাদুজ্জামানের কাছে একাধিকবার চিকিৎসা করে তার দেওয়া ওষুধ সেবন করেও সুস্থ হতে পারেননি। এক সময় তার সেলাইয়ের জায়গা ফুলে ওঠে।

পরে নিরুপায় হয়ে তিনি স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে সমস্যার কথা বললে সেখানকার চিকিৎসক তার সেলাইয়ের জায়গায় পুনরায় অপারেশন করে একটি ভাঙা সুই বের করেন।

সোনিয়া অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা গৌরি ও সুমিত্রার অসচেতনতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এমনকি গৌরি তার কাছ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা বকশিশ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সোনিয়া। কিন্তু শরীরের অসুস্থতার কথা জানানোর জন্য বারবার হাসপাতালে এলেও গৌরিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সেবিকা গৌরি বলেন, ওই দিন হাসপাতালে সোনিয়ার ডেলিভারি তিনি করেছেন। অনিচ্ছাকৃতভাবে সেলাই স্থানে সুঁই ভেঙে থেকে যেতে পারে। কিন্তু ঘটনা যদি তাই ঘটে তাহলে সোনিয়া তার সঙ্গে কেন যোগাযোগ করেননি?

এ ব্যাপারে হাসপাতালের টিএইচও ডা. তানভীর আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই রোগী আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তিন কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন