নিজ ঘরে মিলল প্রতিবন্ধী শিশু ও মায়ের লাশ

  • নাটোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ১১:৩০ এএম

নাটোর: জেলার নলডাঙ্গায় দু’বছরের প্রতিবন্ধী শিশু সন্তান আব্দুল্লাহসহ গৃহবধু শারমিন বেগম (২৫) খুন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে উপজেলার উত্তর বাঁশিরা গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা রাতের কোন এক সময়ে বাড়িতে ঢুকে মা ও ছেলেকে খুন করে।

খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার (১৫ মে) সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত শারমিন একই উপজেলার হলুদঘর গ্রামের উমর আলীর মেয়ে ও উত্তর বাঁশিলা গ্রামের মাহমুদুল হক মুন্নার স্ত্রী। নিহতের স্বামী ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত মাহমুদুল হাসান মুন্নার স্ত্রী শারমিন বেগম তার দুই বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে উত্তর বাঁশিরা গ্রামে স্বামীর পরিবারের সাথে থাকত। মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে শিশু সন্তান আব্দুল্লাহকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে এবং বাড়ির ৬টি ঘরের ৫টি কক্ষের বাহির থেকে শিকল উঠিয়ে আটকে দেয়।

দুবৃর্ত্তরা গৃহবধু শারমিন ও তার ছেলেকে হত্যা করে। দুর্বৃত্তরা শিশু আব্দুল্লাহকে হত্যা করে পাশের ডোবায় ফেলে চলে যায়। বাড়ির অন্যরা সেহেরি খেতে ওঠে বাহির থেকে ঘরের দরজায় শিকল দেওয়া দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের দরজা খুলে দেয়।

এসময় নিজ ঘরের মধ্যে গৃহবধু শারমিনের গলায় ওড়না পেঁচানো মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা। এসময় শিশু আব্দুল্লাহকে তারা দেখতে পায় না। পরে খোঁজাখুজি করে বাড়ির পাশে ডোবা থেকে আব্দুল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা ও ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবারসহ প্রতিবেশীদের জ্ঞিসাবাদ করা হচ্ছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন