পাথরঘাটায় চিকিৎসায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, ৪ জনকে শোকজ 

  • পাথরঘাটা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম

পাথরঘাটা: বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সময় রোগীর স্বজনদের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। গত মঙ্গলবার বিকেলে মেয়াদের ২ মাস অতিবাহিত একটি ইনজেকশন কামাল হোসেন নামের এক রোগীকে পুশ করার সময় রোগীর স্বজনদের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। 

তাৎক্ষনিক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ৪ কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুদ রানা।কারণ দর্শানোর  নোটিশ পেয়েছেন, নার্স (সেবিকা) ইনচার্জ লিটুরানী, সুপারভাইজার রেনু বেগম এবং দুই নার্স সিনথিয়া ও মাসুমা।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের বিউটি বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ হলে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স মাছুমা বেগম সরকারিভাবে বিনামূল্যে প্রদান করা মোট্রোনিডাজেল নামের একটি ইনজেকশন পুশ করার জন্য বোতল থেকে যখন সিরিঞ্জের ভেতর নেয় তখন আমি বোতলের গায়ে দেখি ইনজেকশনের মেয়াদ ২ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এসময় নার্সের হাতটা টেনে ধরি। তাৎক্ষনিক বিষয়টি চিকিৎসক মাসুদ রানাকে জানালে কর্তব্যরত নার্স তাকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে ডা. মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি (মাসুদ রানা) সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

[222551]

সাংবাদিক মো. আলামিন ফোরকান নামে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ডা. মাসুদ রানার কাছে তার অফিসে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি আমাদের ওপর ক্ষেপে যান এবং হুমকি দিয়ে সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করেন। সংবাদ প্রচার হলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার ভয়ভীতিও দেখান তিনি।

ডা. মাসুদ রানা জানান, তাদের হাসপাতালে একটি রুম স্টোর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ওই স্টোরের মধ্যেই সাব স্টোর আছে। ওই সাব স্টোরে তারা ডেড ওভারের (মেয়াদোত্তীর্ণ) ওষুধ রাখেন। ভুলে ২/১টি ইনজেকশন চলমান ওষুধের মধ্যে থাকতে পারে। এ ধরনের ভুল এই হাসপাতালের মধ্যে আগে কখনো ঘটেনি। তবে এই ভুলের জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এমএস