কিশোরীকে পাঁচ দিন আটকে রেখে দলবেঁধে গণধর্ষণ

  • কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৯:৫৪ পিএম
ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কিশোরীকে প্রথমে বাড়ি থেকে বের করে আনে কতিথ প্রেমিক সুমন। এরপর টানা পাঁচদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ১৫ বছরের সেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা।

এ ঘটনায় সহায়তা ও ধামাচাপায় জড়িত থাকার অভিযোগে কটিয়াদীর লোহাজুরি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদকে (৩৫) মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে কিশোরীর বাবা সোমবার কটিয়াদী মডেল থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার সময় সুমন মেয়েটিকে ফোন করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনে। পরে সুমন ও তার বন্ধু লোহাজুরি ইউনিয়নের দশপাখি গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে শোভন (২৩) মোটরসাইকেলে করে পূর্বচর পাড়তালা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন দোতলা বাড়ির নিচতলায় একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে রাতে কথিত প্রেমিক সুমন, শোভন ও পূর্বচর পাড়াতলার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামীম (২৫) দলবেঁধে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

এরপর আবার ওই রাতেই তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর আরও তিনদিন ওই কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। পালাক্রমে গণধর্ষণের ফলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় গত রোববার রাত আটটার দিকে কিশোরীকে আসামিরা তার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায়।

কটিয়াদী মডেল থানার দায়িত্বপ্রাফত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। মামলার পর ইউপি সদস্য রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই