গণপিটুনিতে রেনিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিন জন রিমান্ডে

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিন জনকে চারদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- জাফর, শাহীন, বাপ্পী।

সোমবার (২২ জুলাই) ওই তিন জনকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার রাতে মোবাইল ফোনের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, চার জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গণপিটুনির ঘটনার নেতৃত্বদানকারী হৃদয় নামে যুবককে পুলিশ আটক করতে পারেনি। হৃদয় উত্তরবাড্ডায় তার বাবা হানিফ আলীর সবজির দোকানে কাজ করেন। পড়াশুনাও করেনি হৃদয়। এলাকায় আগে থেকে বখে যাওয়া যুবক হিসাবে পরিচিত হৃদয়।  

গত শনিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাসলিমা বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। স্কুলের সামনের গেইটে অভিভাবকরা তাঁর কাছে ভেতরে যাওয়ার কারণ জানতে চান। 

তাসলিমা জানান, তাঁর সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করবেন। এ সময় অভিভাবকদের কাছে তাঁর কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাঁরা তাঁকে ধরে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।

আর স্কুলে ছেলেধরা এসেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেখানে বাঁশের বাজারসহ আশপাশের এলাকার লোকজন ভিড় করে। কিছুক্ষণ পর তাসলিমা প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জড়ো হওয়া লোকজন তাঁকে ধরে স্কুলের সামনেই পিটুনি দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি নিথর হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

জানা গেছে, আড়াই বছর আগে তাসলিমা বেগম রেনুর সঙ্গে তাঁর স্বামীর তালাক হয়। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর ১১ বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে তাঁর স্বামীর কাছে থাকে, আর মেয়েটি থাকে তাঁর সঙ্গে। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ