ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন নামঞ্জুর, ফের কারাগারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৩:৩৮ পিএম

ঢাকা: সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

এ সময় আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। এরপর চলতি বছরের ১২ মে সিএমএম আদালত তাকে জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ গত ২১ আগস্ট ব্যারিস্টার মইনুলকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি।

এর আগে মহিউদ্দিন চৌধুরী  জামিনের বিষয়ে  গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সবগুলো মামলায় জামিনে রয়েছেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এই মামলাতেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।

তিনি বলেন, আদালতে আমরা পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। আদালত জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নথি দেখে জামিন বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল।  এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপর ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী সাংবাদিকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সৌদি সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মইনুলের সমালোচনা করেন।

পরবর্তীতে ব্যারিস্টার মঈনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ওই প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় মইনুলের নামে।

এরপর এ ঘটনায় কুমিল্লা, কুড়িগ্রামে ও বিভিন্ন জেলায় মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় পাঁচ মাসের ও কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। রংপুরে দায়ের করা মামলায় ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মামলায় জামিন পাওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি কারামুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ