আগের রায় বাতিল করে সরকারি চাকরিজীবিদের সুখবর দিল হাইকোর্ট

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ১১:৫৮ এএম

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে এ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট জাতীয় সংসদকে আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করতে বলতে পারে না।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সসীমা ৬০ই হবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচরপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন।

২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ বছর করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করা বৈষম্যমূলক হয়েছে। একারণে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৬১ বছর পর্যন্ত সকল সুবিধা দেবে বলে মনে করি।

বিচারপতির গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট গাজী মোশতাক আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক।

সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মশির উদ্দিন ওয়ারেশী ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার সাহার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন। পরে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

সরকার ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা একবছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে। এ অবস্থায় চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধা গত বছর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। 

এ রিট আবেদনে রুল জারি করেন আদালত। এরপর রিট আবেদনকারীরা ২০১৩ সালের আইনের সংশোধনী বাতিল চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন