ঢাকা : দেশের অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি করে বিভিন্ন মামলায় একমাসে ৪৪ হাজার ৮০২ জনের জামিন হয়েছে। এর জন্য বিচারকদের শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে হয়েছে ৮৪ হাজার ৬৫৭টি আবেদন। শুক্রবার (২৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য দেন।
গত ১১ মে থেকে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানি শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত এ প্রক্রিয়ায় মোট ৩০ কার্যদিবস পার করল দেশের অধস্তন আদালত।
ভার্চুয়াল আদালতে শুনানির জন্য গত ৯ মে রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন সর্বোচ্চ আদালতের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ‘ফুলকোর্ট’ সভা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
ফুলকোর্ট সভার পর ওইদিনই অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল জামিন শুনানির নির্দেশ আসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে। তার জন্য তিনটি ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ও জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
আপিল বিভাগ পরিচালনার জন্য ১৩ দফা, হাই কোর্ট পরিচালনার জন্য ১৫ দফা ও অধস্তন আদালত পরিচালনার জন্য ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরপর ১১ মে বিচার বিভাগের ইতিহাসে অধস্তন আদালতে প্রথম ভার্চুয়াল শুনানি হয়। ওইদিন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এক আসামিকে জামিন দেয়।
সাইফুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ১১ হাজার ৫৪১টি আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি করে জামিন হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ আসামির। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন অধস্তন আদালতে ১ হাজার ৩২৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৪৯, রংপুর বিভাগে ৩৯৫, বরিশাল বিভাগে ২০৮, রাজশাহী বিভাগে ৭২৫, খুলনা বিভাগে ৭১৭, সিলেট বিভাগে ২৯৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৯৬ জন আসামির জামিন হয়েছে।
এছাড়া দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে গত সপ্তাহে জামিন হয়েছে ৫৮ আসামির। আর শিশু আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়েছে ৩৫ শিশুকে।
সোনালীনিউজ/এএস