সেই এসআই মাসুদ পুনর্বহাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৪, ২০১৬, ০১:১২ এএম

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুদ শিকদার তার চাকরি ফিরে পেয়েছেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও শাস্তি হিসেবে কেবল দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। একেই গুরুদণ্ড বলছেন পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।

গত ৯ জানুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলে। ওই রাতে মোহাম্মদপুরে একটি টহল দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাসুদ শিকদার। গণমাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর মাসুদকে বরখাস্ত করে পুলিশ বিভাগ।
তাৎক্ষণিক তদন্ত ও পরে বিভাগীয় তদন্তে মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে তদন্ত প্রতিবেদনসহ নথি পাঠান তেজগাঁও অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। এরপর বিভাগীয় মামলা হয় মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে।

এরপর মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, ‘তার দুই বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে, এটা গুরুদণ্ড। এই ব্যবস্থার পর মাসুদ শিকদারের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এখন তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় কাজ করছেন’।
এই শাস্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষকে মেরে ফেলার হুমকির ঘটনায় এটা কোনো শাস্তিই হতে পারে না, এটা কোনওভাবেই গুরুদণ্ড নয়’। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের নির্যাতন বা অন্য কোনো ঘটনায় আপস করে ভুক্তভোগী। এই আপস স্বেচ্ছায় নাকি পুলিশের চাপে পড়ে, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।

এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দিলরুবা সারমিন গণমাধ্যমকে বলেন, এসআই মাসুদ শিকদারের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ যথেষ্ট শাস্তি নয়। হত্যার হুমকি দিয়ে তিনি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিচার হওয়ার প্রয়োজন ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানি না। আর জানতে চাইও না। এ নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যাথা নেই’।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ