জেএমই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জামিন বহাল 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২১, ০৯:৩৬ পিএম

ঢাকা: নিম্নমানের এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জেএমআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের জামিন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তার জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। আবদুর রাজ্জাকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খলিলুল রহমান (এম কে রহমান) এপ. ড. মো. শাহ জাহান এড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, এড. নাহিদা সুলতানা জুথি, এড. জুবায়ের আহমেদ। 

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবীন রব্বানী দীপা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

বিচারিক (নিম্ন) আদালত থেকে আবদুর রাজ্জাককে দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

আদেশ বলা হয়েছে, বিচারিক আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, জামিনের অপব্যবহার করা হলে বিচারিক আদালত জামিন বাতিল করতে পারবে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর আবদুর রাজ্জাককে জামিন দেয়। এই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক। এ আবেদনে আবদুর রাজ্জাকের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে রুল খারিজ করে দেয়া হয়েছে।

এরআগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে দুদক। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নূরুল হুদা মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিনই রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুদক।

কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০ হাজার ৬১০টি নিম্নমানের এন-৯৫ মাস্ক আসল দেখিয়ে ১০টি হাসপাতালে সরবরাহ করার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক, সিএমএসডি’র সাবেক উপপরিচালক ও কক্সবাজার মেডিকেলের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

গত ১০ জুন থেকে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

একই অভিযোগে দুদক গত ১২ ও ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এছাড়া, মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এরআগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সিএমএসডি’র ছয় কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিশন।

সোনালীনিউজ/এএস/আই