সোনালী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তার ১০ বছরের কারাদণ্ড

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২, ০৫:১১ পিএম

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তা ও এক গ্রাহককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন সোনালী ব্যাংকের এজিএম এ জে আবদুল্লা আল মামুন, সিনিয়র অফিসার জাকের উল্লাহ, ক্যাশিয়ার এম এ রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সামছুদ্দোহা নাহাদ এবং সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক নিজাম উদ্দিন ফারুক। তাদের মধ্যে ফারুক পলাতক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ মাছ রেখে ব্যবসার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুলাই ২ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। পরে মাছ না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৪টি চেকে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা তোলেন।

এর বিপরীতে ৫১ হাজার ৪৩৯ কেজি ইলিশ মাছ কিনে গুদামজাত করার কথা থাকলেও তা না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তফা কামাল ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সাতজনকে আসামি করে সুধারাম থানায় মামলা করেন।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের অজান্তে নকল চাবি তৈরি করে ওই ব্যবসায়ী গুদাম থেকে মাছ সরিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সেটা জেনেও আদালতকে অবহিত করেননি।

২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবুল কাশেম জানান, এ মামলায় আদালত প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজামকে ২ কোটি ২ লাখ টাকা এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত আসামিদের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মীর আবদুল লতিফ ও ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন বলেন, ‘এ রায়ে আসামিপক্ষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আশা করি সেখানে ন্যায়বিচার পাব।

এই আইনজীবীর দাবি, ‘ব্যাংক কর্মকর্তাদের অজান্তে নকল চাবি তৈরি করে ওই ব্যবসায়ী গুদাম থেকে মাছ সরিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সেটা জেনেও আদালতকে অবহিত করেননি।’ 

সোনালীনিউজ/এম