সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিচার শুরু

  • আদালত প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০১৬, ০৫:৫১ পিএম

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিচার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের সুনাম ক্ষুণ্নের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় এই নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিচারক  প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ৬ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান, এদিন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন বিচারক তা নাকচ করেন দেন। 

গত বছরের ১০ আগস্ট ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ‘আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবরা আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন : ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিনজনের অনুসারী-সহযোগীরা।’

এ ঘটনার পর ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে প্রবীর সিকদারকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। রাতেই তাকে নেয়া হয় ফরিদপুরে।

এদিকে ফেইসবুকে এ ধরনের একটি স্ট্যাটাসে লেখার মাধ্যমে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ এনে প্রবীরের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলার এপিপি স্বপন পাল।

ওই মামলায় সাংবাদিক প্রবীরকে রিমান্ডেও পাঠিয়েছিল আদালত। তবে রিমান্ডের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই জামিনে মুক্তি পান প্রবীর সিকদার। পরে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেয়।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনির হোসেন গত ১৬ মার্চ ফরিদপুরের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে বিচারক মামলাটি ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান।

এ আইন অনুযায়ী, কেউ ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে কোনো কিছু প্রকাশের মাধ্যমে কারও মানহানি ঘটলে বা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে প্রমাণিত হলে তার ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম