বরগুনার আমতলীতে গরু ব্যবসায়ী নয়া মিয়া হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে অন্য একটি ধারায় তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের সব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- শহিদুল ইসলাম চৌকিদার, বারেক চৌকিদার, বশির মাতুব্বর ও মোয়াজ্জেম। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- আবদুর রব চৌকিদার ও মজিবর।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আক্তারুজ্জামান বাহাদুর বলেন, ২০১২ সালের ১০ এপ্রিল উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নয়া মিয়া ৭০ হাজার টাকা নিয়ে কলাপাড়া থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাকে শহিদুল চৌকিদারের বাড়ি নিয়ে পাটা-পুতা দিয়ে কোমরের নিচের দিকের অংশ থেঁতলে দেয় আসামিরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন চৌকিদারের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নয়া মিয়ার ছেলে মো. নাসির বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আদালতের রায়ে আমরা সবাই খুশি। এছাড়া আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী কমল কান্তি দাস বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম