তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের করা দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ১৯ অক্টোবর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন বিচারক। এর আগে গত ১০ আগস্ট দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের দায়ের করা ওই মামলা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। সম্পদ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া। পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ওই সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
২০১৫ সালের ৭ মে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে তিনি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ