ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ১২ মার্চ

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬, ০১:১৫ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ (৮৬) ছয়জনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যর ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী।

গত ২১ ডিসেম্বর এই ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।

এ মামলায় অন্য পাঁচ আসামি হলেন- জাছিজার রহমান অরফে খোকা (৬৪), আজগর হোসেন খান (৬৬), মোন্তাজ আলী ব্যাপারী (৬৮), আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২) ও মো: রনজু মিয়া (৫৯)। এদের মধ্যে শুধু রনজু মিয়া গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকি সবাই পলাতক। এরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

চার অভিযোগ: এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য গাইবান্ধা জেলার সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিঁদুর এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল ‍লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

তৃতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকি এবং খলিলার রহমানসহ পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে।

চতুর্থ অভিযোগ: গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট সাতজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ