সোনা আনতে একি কাণ্ড!

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০১৭, ০১:৩৭ পিএম

ঢাকা: ঘটনাস্থান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১২টা। বিমান থেকে নেমে অদ্ভুতভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক যাত্রী। সেদিকে নজর পড়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের। তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। কিন্তু লোকটি কিছুতেই কোনো তথ্য দিচ্ছিলেন না। 

তার কাছে সোনা আছে এমন প্রশ্ন করা হলে, সে অস্বীকার করে। এভাবে চলছিল বেশ কিছুক্ষণ। কোনোভাবেই বাগে আনা যাচ্ছিল না ওই যাত্রীকে। পরে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তার এক্স-রে করেন। তার পায়ুপথে দেখা যায় অস্বাভাবিক তিনটি পুঁটলি।  এরপরও ওই যাত্রী কোনো কথাই শুনছিলেন না। এবার তাকে ভয় দেখানো হয় অস্ত্রোপচারের। এতে কিছুটা নরম হয়। বিশেষ কায়দায় বের করে আনেন পায়ুপথ থেকে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণ।  

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানায়, ওই যাত্রীর কাছ থেকে ১২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম। দাম আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা। মালিন্দ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে এসে নামা ওই যাত্রীর নাম শরীফ আহমেদ। তার বাড়ি কুমিল্লায়।

শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, ওই যাত্রীর ব্যাপারে গোপন তথ্য ছিল। পরে কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে চলে যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বারবার জিজ্ঞেস করার পরও সোনা আনার কথা অস্বীকার করছিলেন। রাত তিনটার দিকে বেসরকারি একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে নেয়া হয়। এক্স-রে করে দেখা যায় পায়ুপথে তিনটি অস্বাভাবিক পুঁটলি। শরীফ তার আত্মীয় বড় কর্মকর্তার নাম বলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

এক পর্যায়ে ক্ষান্ত দিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লুঙ্গি নিয়ে পরেন। তারপর কাস্টমসের টয়লেটে যান। গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে পায়ুপথে বিশেষ কায়দায় লুকানো তিনটি কনডম বের করেন। এগুলোর ভেতরে চারটি করে মোট ১২টি সোনার বার পাওয়া যায়।

শরীফ জানান, চারটি সোনার বার স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে একটি কনডমের ভেতরে ঢোকান। এরপর আবার টেপ দিয়ে প্যাঁচান। এ রকম তিনটি কনডম বিশেষ কায়দায় পায়ুপথে ঢোকান। মালয়েশিয়াতে এর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

এর আগে গেল বছরের ১৭ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরে একইভাবে এক যাত্রীর পায়ুপথ থেকে আটটি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক বিভাগ।

সোনালীনিউজ/এমএন