ঢাকা : সুন্দরবনের আশপাশে দশ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই আওতাধীন এলাকার মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তা বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, রিট আবেদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টিও আনা হয়েছে। কারন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে এবং এর আশেপাশের যেসব শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে সুন্দরবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্ট ও এর চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।
এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকা পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে কম-বেশি ১৫০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী নানা প্রকল্প রয়েছে। আবেদনে আরো বলা হয়, এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়াটা সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই