রায় ফাঁস মামলা

সাকার আইনজীবী ফখরুলের মুক্তিতে বাধা নেই

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০১৭, ০১:১৩ পিএম

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন।

পরে জানা যায়, ব্যারিস্টার ফখরুলের হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে এক বছরের জামিন দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ। পরে সে জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে বুধবার চেম্বার আদালতে আবেদন করে
রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর রায় খসড়া ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় দেন সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম শামসুল আলম। রায়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান।

ওই মামলায় সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে যান। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় জিডি করেন। পরে তা তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলায় রূপান্তরিত হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন