ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে আপিল শুনানি শুরু

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৭, ১২:৩১ পিএম

ঢাকা: উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ সংসদের হাতে রেখে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু করা হয়েছে। একইসাথে আপিল শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষের করা সময় আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আপিল শুনানি শুরু হয়।

আজ শুনানির শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর আপিল শুনানি শুরু হয়। পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা হাইকোর্টের রায় পড়ার মাধ্যমে এই শুনানি শুরু করেন। এ সময় রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলার শুনানিতে সবশেষ গত ৭ মার্চ  দুই মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সেদিনই পরবর্তী শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী সোমবার মামলাটি কার্যতালিকায় আসলে এই শুনানি শুরু হয়।  

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য ১২ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ আইনজীবী হচ্ছেন- বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার আজমালুল কিউসি, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, এম আই ফারুকী।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। এরপর তা ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

এ আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে গত ৫ মে আদালত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ১৬তম সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। তিন বিচারকের মধ্যে একজন রিট আবেদনটি খারিজ করেন।

এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের রায় প্রকাশিত হয় গত ১১ আগস্ট এবং রিট খারিজ করে দেওয়া বিচারকের রায় প্রকাশিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর। দুটি মিলে মোট ২৯০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন