দুই তরুণী ধর্ষণ: ৭ দিনের রিমান্ডে নাঈম

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৭, ০৭:২০ পিএম

ঢাকা: বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফের (মো. আব্দুল হালিম) সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জাম্মান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।

বুধবার (১৭ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ লৌহজংয়ের টঙ্গীপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১১ মে এই মামলার অন্যতম দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৪ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান এলাকা থেকে যথাক্রমে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়।

দুই তরুণী ধর্ষণের মামলার দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্দাইল গ্রামে। তারা বাবা সাধারণ ফেরিওয়ালা। ফেরি করে থালা-বাটি বিক্রি করতেন। নাঈম আশরাফের আসল নাম হালিম। এসএসসি পরীক্ষার পরই সে গ্রাম ছাড়ে। নিজের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম বদল করে বিয়ে করেছে ৩টি। আগের ২ স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার কালশি এলাকায় ভাড়া থাকে।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে (৬ মে) দুই তরুণী বনানী থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সফিক, ড্রাইভার বিল্লাল ও সাফাত আহমেদের বডিগার্ড রহমত।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ তরুণীদের বাসা থেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ