উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে ৭ পর্যবেক্ষণ

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৭, ০৭:০৮ পিএম

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের নীতিমালা বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। সোমবার (২২ মে) বিকেলে রায়ে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণ দে। এরপরই তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

গত ১৩ এপ্রিল বিচারক নিয়োগের নীতিমালার ওপর  জারি করা রুল কিছু পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগে ৭টি শর্তসহ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

মেধা সম্পন্ন ও দক্ষতা সম্পন্নদের এ পদে নিয়োগ দেয়া যাবে। যারা সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হতে চান তাদের আবেদন সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইডে প্রকাশ করতে হবে। এর সাথে আবেদনকারীর সম্পদের হিসেবের বিবরণও জমা দিতে হবে।

হাইকোর্টের একজন বিচারপতি হতে হলে তাকে ৪৫ বছরের বয়স সম্পন্ন হওয়া উচিত। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হতে যে সব যোগ্যতা প্রয়োজন সেই যোগ্যতা হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে।

জেলা জজ হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। বিচারিক আদালতের জজদের হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সততার বিষয় দেখতে হবে। একই সঙ্গে তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। এ পদের বেতন ভাতা এমন হবে যাতে করে মেধাবী ও অভিজ্ঞরা নিয়োগ পেতে আগ্রহী হয়।

২০১০ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা প্রননয়ন চেয়ে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। সে রিটের শুনানি করে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। চলতি বছরের ১৩ জুলাই রুল নিষ্পতি করে রায় ঘোষণা করেন আদালত। সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হলো আজ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ