ঢাকা: আদালত অবমাননার অভিযোগে নরসিংদীর পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পৌর মেয়র কামরুজ্জামান, নরসিংদীর ডিসি, এসপি, সদর থানার ওসি, নরসিংদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ও পৌরসভার প্রকৌশলীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমিনুদ্দীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আদনান সরকার।
পরে আদনান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, নরসিংদীর পৌর মেয়র রাস্তা সম্প্রসারণ করার অজুহাতে নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিল থেকে বোয়াকুড় পর্যন্ত কয়েকশ’ আধাপাকা, পাকা বহুতল ঘড়বাড়ি ভেঙ্গে ফেলছেন। তবে সরকার এ জায়গা অধিগ্রহণ করেনি। কেননা সরকার অধিগ্রহণ করলে তার উপযুক্ত মূল্য দেওয়ার কথা এবং উচ্ছেদের আগে নোটিশ দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে এরকম কোন নিয়ম মানা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে মেয়রের পক্ষ থেকে। আর ভাঙার পর ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। এরপর উচ্চ আদালত ওখানকার বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন এবং রুল জারি করেন। ওই উচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের হয়রানি করছে এবং হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও ওই এলাকায় উচ্ছেদ চালিয়েছে মেয়র। বিষয়টি নজরে এনে মেয়রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর