৫ কোটি টাকা না দিলে জামিন বাতিল শওকত চৌধুরীর

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৭, ১০:৩৭ এএম

ঢাকা: আগামী দুই মাসের মধ্যে ৫ কোটি টাকা জমা না দিলে নীলফামারী-৪ আসনের এমপি মো. শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শওকতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, দুই মাসের মধ্যে এমপি মো. শওকত চৌধুরী ৫ কোটি টাকা জমা না দিলে তার জামিন বাতিল করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চলতি বছরের ২২ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে এমপি শওকতের জামিন বাতিল হবে বলে রায় দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন শওকত চৌধুরী।

আজ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে আপিল বিভাগ দুই মাসের মধ্যে ৫ কোটি টাকা জমা না দিলে জামিন বাতিল হবে বলে আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ ও  ১০ মে শওকত চৌধুরীসহ ওই ব্যাংকের নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় দুটি মামলা করে দুদক।

অন্য আসামিরা হলেন- কমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বংশাল শাখার প্রাক্তন শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, চাকরিচ্যুত অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার শিরিন নিজামী, প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, প্রাক্তন ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইখতেখার হোসেন, প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ বাউল, প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমানে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আসজাদুর রহমান।

এরপর আগস্ট মাসে শওকত চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে নিম্ন আদালতও তার জামিন মঞ্জুর করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ২০১৬ সালের ৮ মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০ মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সংসদ সদস্য শওকতসহ নয়জনের নামে দুটি মামলা করে দুদক।

২০১২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স অ্যাগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেড ও উদয়ন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসে তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। পরে যা সুদে আসলে শত কোটি টাকার ওপরে চলে যায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন