আদালতে আইনজীবী

খালেদা জিয়াকে খালাস দেয়া উচিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭, ০৩:৫৩ পিএম

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান বলেছেন, সংবিধানের ৫৫ ও ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো পাবলিক সার্ভেন্ট কোনো মামলার আসামি হতে পারে না। তিনি দাবি করেন এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ আনতে।

রেজাক খান বলেন, আমি সম্মানের সাথে আদালতকে বলেছি, এই মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেয়া হোক।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান যুক্তিতর্ক শেষ করেছেন।

এখন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন তার আরেক আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, এ মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বেলা সোয়া ১১টায় আদালতে পৌঁছান বিএনপি প্রধান।

এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দুই দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

গত মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। বুধবার রেজাক খান তার যুক্তিতর্ক উস্থাপন শেষ করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবারও রেজাক খান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উস্থাপন করবেন।

খালেদা জিয়ার হাজিরা ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের প্রধান ফটকে স্ক্যানার বসিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে।

এ ছাড়া জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

১৯ ডিসেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন