আদালতে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে যা বললেন আসিফ

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৭, ২০১৮, ০৩:৪৫ পিএম

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় মঙ্গলবার (৫ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় সিআইডির একটি টিম ও প্রিয়া, ও প্রিয়া তুমি কোথায়’র কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর বুধবার সকালে তাকে আদালত নেয়া হয়।

আদালতে নেয়া হলে আসিফ আকবর নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাসেন। বিচারককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘স্যার আগেই তার (সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন) বিরুদ্ধে আমার মামলা করা উচিত ছিল। মামলা না করে আমি ভুল করলাম।’

আসিফ বিচারককে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘অনুমতি ছাড়াই সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছি এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি এর লাভের এক টাকাও পাইনি। প্রয়োজনে আপনি আমার সমস্ত অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পারেন।’

বুধবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায়ের আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য আসিফ আকবরকে নেয়া হয়। এ সময় আসিফের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর আদালত আসিফের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, শিল্পী শফিক তুহিনের করা তথ্য প্রযুক্তি আইনে মঙ্গলবার (৬ই জুন) দিবাগত রাতে সিআইডি গ্রেপ্তার করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, শফিক তুহিন অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে।

পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।

সোনালীনিউজ/জেএ