এসএ গ্রুপের মালিক কারাগারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৮, ০৯:০৯ পিএম

ঢাকা: চট্টগ্রামের এসএ গ্রুপের মালিক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শাহাবুদ্দিন আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের করা একটি মামলায় বুধবার (১৭ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে শাহাবুদ্দিনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এর আগে বুধবার ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর করা একটি মামলায় তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

সিআইডি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন জাহান জানান, এসএ গ্রুপের মালিক শাহাবুদ্দীনের বিরদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির একাধিক মামলা রয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এসএ গ্রুপের শাহাবুদ্দিন আলম বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। তার মোট ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিডিএ অ্যাভিনিউ শাখা থেকে তার নেয়া ঋণের পরিমাণ ৭০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

এছাড়ও শাহাবুদ্দিন আলম ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের নুরুল আমিন লাবলুর কাছ থেকে ১০ কোটি ও মেওয়া ওয়েল অ্যান্ড ফ্যাডস থেকে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন।

ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৯৪০ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪১ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৭০১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার, পূবালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার, কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখা থেকে ১৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা থেকে ৫৪৮ কোটি ৪৪ লাখ, জনতা ব্যাংক শেখ মুজিব রোড কর্পোরেট শাখা থেকে ১১৮ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজার ও প্রাইম ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। এ সব ঋণ তিনি পরিশোধ করেননি। ঋণ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে একাধিক মামলা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম