ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার জনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরি পলাতক। খালেদা জিয়াসহ তিন জন কারাগারে রায়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ জজ আদালতে প্রবেশ করার সময় কাজল বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আসামি পক্ষের আবেদন খারিজ হওয়ায় রায় হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় চ্যারিটেবল মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ৯ মাসে তিনি একবার আদালতে এসেছেন। তিনি মামলার শুনানিতে আসবেন না বলে একাধিকবার বলেছেন যা জেল কাস্টডিতে লেখা আছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সময় দেওয়ার পরেও যুক্তিতর্কে উপস্থিত হননি। এজন্য বিচারক এ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।’
এদিকে, সকাল ১১টায় আদালতে এসেছেন অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দেখা গেলেও আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
দুদকের করা আরেক মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন