যুদ্ধাপরাধী লিয়াকত-আমিনুলের ফাঁসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৮, ০৪:০০ পিএম

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

গতকাল রোববার এ মামলার রায়ের তারিখ ঠিক করে দেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ১৬ আগস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম।

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এই দুইজনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগে ওই বছরের ১৮ মে এই দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত ও রজব রাজাকার এবং পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুটপাট এবং কৃষ্ণপুরে নৃপেন রায়ের বাড়িতে রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করেন। দুই ও তিন নম্বর অভিযোগ হচ্ছে একই এলাকার চন্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাট করেছে তারা। অভিযোগ চার হচ্ছে অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামে শ্মশানঘাটে হত্যাকাণ্ড চালান তারা।

অভিযোগ পাঁচে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে অপহরণ এবং রঙ্গু মিয়াকে অপহরণ ও হত্যা করেছেন তারা। অভিযোগ ছয় ও সাত হচ্ছে- অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ও সাবিয়ানগর গ্রামে খাঁ বাড়িতে হত্যার অভিযোগ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন