আদালতের ওপর ফের অনাস্থা খালেদা জিয়ার আইনজীবীর

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৯:১০ পিএম

ঢাকা : তিন আসনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের শুনানিতে আদালতের প্রতি ফের অনাস্থা জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। তারা সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুই দফা আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। এর ফলে, শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে এ শুনানি গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান। পরে, দুপুর ২টা পর্যন্ত আদালত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।

গতকাল দুপুরে শুনানি করতে গেলে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিষ্টার বদরুদ্দোজা বাদল। এরপর আদালত প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আদালত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত (নট টুডে) মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। ফলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কী পারবেন না তা ঝুলেই থাকল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবারও একক বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিন আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এর বিরুদ্ধে করা আপিলও গত ৮ ডিসেম্বর তা নামঞ্জুর করে ইসি। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার করা রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার একক বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তারা আদালত থেকে বেরিয়ে যন। ওই দিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও বদরুদ্দোজা বাদল।

এ বিষয়ে আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল জানিয়েছিলেন, আমাদের এই আদালতের প্রতি কোনো আস্থা নেই। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছিলেন, জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টের বিধান হলো একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি যদি কোনো মামলার শুনানি করেন, তবে জুনিয়র কোনো বিচারপতি ওই মামলায় আর শুনানি করতে পারবেন না। সে জন্য এই আদালতের প্রতি আমরা অনাস্থা জানিয়েছি।

খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও কগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকতারা। ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

প্রসঙ্গত দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

সোনালীনিউজ/এমটিআই