প্রাণ-আরএফএলের বিরুদ্ধে তিন মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম

ঢাকা: অবৈধভাবে ৬৭ কোটি টাকার বন্ডেড পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির দায়ে শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল এর বিরুদ্ধে আয়কর আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে সরকার রপ্তানির কাজে ব্যবহার করার জন্য বন্ডেড সুবিধা দেয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এই সুবিধার অপব্যবহার করাতে এই মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা।

সম্প্রতি শুল্ক গেয়েন্দার অভিযানে এসব চিত্র উঠে আসে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোম্পানি অল প্লাস্ট বিডি লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউসে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ৪ হাজার ১১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পণ্য (পিপি, এলডিপিই, এলএলডিপিই, এইচডিপিই, মুদ্রণ কালি ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে ২ হাজার ৮৭৩ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। শুল্কসহ ফাঁকি দেয়া পণ্যের মূল্য ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এবং ফাঁকি দেয়া শুল্কের পরিমাণ ১২ কোটি ৩৫ কোটি টাকা।

এদিন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোম্পানি ময়মনসিংহ অ্যাগ্রো লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউসে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ১৫০ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পণ্য মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে ৩০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১ কোটি ৮৫ কোটি টাকা। ফাঁকি দেয়া শুল্কের পরিমাণ ৬৫ লাখ টাকা।

সূত্র আরো জানায়, আরএফএল গ্রপের কোম্পানি ময়মনসিংহ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ইউনিট ৩ নামীয় প্রতিষ্ঠানে বন্ডেড ওয়্যারহাউসে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ১ হাজার ৭৯২ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন পণ্য (ফিল্ম, এলডিপিই ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১৭ কোটি ১৯ কোটি টাকা। ফাঁকি দেয়া শুল্কের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৪ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ এপ্রিল সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের টিম প্রাণ আরএফএলের রপ্তানিমুখী ৩ বন্ডেড প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বন্ড রেজিস্টারে উল্লেখিত মজুদ অপেক্ষা ৪ হাজার ১৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। যার শুল্ককরসহ মূল্য ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেয়া শুল্ককরের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৫ লাখ।

অবৈধভাবে এসব পণ্য খোলাবাজারে বিক্রয়ের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে তিন মামলা দায়ের করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। ফাঁকি দেয়া টাকা আদায়ের লক্ষে কাস্টমস আইনে পৃথক আইনে রাজস্ব ফাঁকির তিনটি মামলা দায়ের করে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম