ঢাকা: ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায়ে বরখাস্ত সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াসহ ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অন্য একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা অন্য আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহা, মো. আরাফাত রহমান এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আবদুল্লাহ।
আরেক আসামি শাফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। বাকি ৪ আসামিকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ ঠিক করেন। মামলাটিতে চার্জশিটভূক্ত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০১৯ সালের ১ আগস্ট পলাতক বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ