পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচ বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) শহিদুল ইসলাম নামে এক সাধারণ বিনিয়োগকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও দায় একত্র করে নতুন একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবিত নাম ‘ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক’ বা ‘সম্মিলিত ইসলামিক ব্যাংক’। নতুন ব্যাংকটি সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ও পেশাদার ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

সরকার আশ্বস্ত করেছে, একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবেন না এবং কারও আমানত ঝুঁকিতে পড়বে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন দাঁড়াবে ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা। ১০ হাজার কোটি নগদ এবং বাকি ১০ হাজার কোটি সুকুক বন্ডের মাধ্যমে। সুকুক হলো শরিয়াহসম্মত বন্ড, যা সুদভিত্তিক বন্ডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের একটি অংশ বেইল-ইন প্রক্রিয়ার আওতায় শেয়ারে রূপান্তর করে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা মূলধন যোগ করা হবে। পরবর্তী রেজল্যুশন পরিকল্পনা অনুযায়ী আমানতকারীদের এ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। বেইল-ইন প্রক্রিয়ায় কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়ের নির্দিষ্ট অংশ বাতিল হয়ে শেয়ারে রূপান্তরিত হয়।

প্রাথমিকভাবে নতুন ব্যাংকটি থাকবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন। তবে পাঁচ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে সেটি বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, সরকারি নিয়ন্ত্রণে আসায় গ্রাহকদের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল তা কমে আসবে। একই সঙ্গে আতঙ্কিত ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ দ্রুত ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এএইচ/পিএস