ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা, বাসচালক আটক

  • ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২০, ০২:২৬ পিএম

ঢাকা : ঢাকার ধামরাইয়ে এক নারীশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই নারীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা করা হয়।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ধামরাইয়ের বালিয়া এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই নারীশ্রমিককে বহনকারী বাসের চালক ফিরোজ এলাহী সোহেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত মমতা আক্তার (১৯) উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের শাহজাহান খাঁর মেয়ে ও ডাউটিয়া প্রতীক সিরামিক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

আটক বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেল রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার খালকোলা গ্রামের আমানত খানের ছেলে। সে বালিয়া ইউনিয়নের জেঠাইল গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ের জামাই। সোহেল প্রতীক সিরামিক কারখানার শ্রমিকদের ভাড়া করা বাস চালাতেন। ঘটনার সময় বাসে কোনো সহযোগী ছিল না।

নিহতের স্বজন ও পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডাউটিয়া এলাকায় প্রতীক সিরামিক কারখানায় প্রায় সাত মাস ধরে শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন মমতা আক্তার।

প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার মা জুলেখা বেগম কারখানার শ্রমিকদের ভাড়া করা বাসে কালামপুর-মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁঠালিয়া এলাকা থেকে বাসে তুলে দেন মমতাকে। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি মমতা। বাড়ি না আসায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে পায়নি তার স্বজনরা।

পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে মমতার বাবা শাহাজাহান খাঁ।

এদিকে স্বজনরা রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মমতার মৃত দেহ দেখতে পান একই সড়কের পাশে হিজলীখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমে পরিত্যক্ত ভিটার জঙ্গলের মধ্যে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

ওই রাতেই বাসচালক সোহেলকে তার শ্বশুড়বাড়ি জেঠাইল থেকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আটক সোহেল পুলিশকে জানিয়েছে, মমতা বাসে ওঠার পর থেকেই চালক সোহেলের মাথায় কুমতলব ওঠে। বাসে ওই সময় মমতা একাই ছিল। পরে বাস থামিয়ে বাসের লাইট বন্ধ করে  মমতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মমতা প্রাণপণে বাঁচার আকুতিও করে। একপর্যায়ে সোহেলের হাতের বৃদ্ধ আঙুল কামড় দিয়ে গোস্ত (মাংস) ছিঁড়ে নেয় মমতা। এরপরও মমতা রেহাই পায়নি নরপিশাচ সোহেলের কাছ থেকে।

এরপর চিৎকার দিয়ে বাস থেকে বের হয়ে যায় মমতা। ওই সময় তাকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোহেল। পরে তার মরদেহ টেনে নিয়ে সড়কের পাশের একটি পরিত্যক্ত ভিটার জঙ্গলে রেখে দেয়।

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, হত্যার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না আপাতত বলা যাবে না। তবে যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই