কারাগারে ৪৫ মিনিটের নারীসঙ্গ, ৩ কর্মকর্তা ক্লোজড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২১, ০১:২০ পিএম

ঢাকা: দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশে।

করোনার কারণে দেশের সব কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে গত বছরের মার্চ মাস থেকে। শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় এ ঘটনা ঘটলো।

অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় জেল সুপার, জেলার থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কারারক্ষীরা টাকার ভাগ পেয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর-১ কারাগারে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীরের অন্যতম সহযোগী তুষার টাকার বিনিময়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সম্প্রতি কারাগারের ভেতরে তুষারের সঙ্গে নারীর ভিডিও চিত্র একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। অবশ্য তুষারের দাবি, ওই নারী তার স্ত্রী। শত শত কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে কাশিমপুর-১ কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি কাশিমপুর-১ কারাগারে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত বন্দি তুষারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬ জানুয়ারি দুপুরে কাশিমপুর-১ কারাগারের ডেপুটি জেলার সাকলাইন এক নারীকে স্বাগত জানান এবং একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখান থেকে সাকলাইন বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর বন্দি তুষার ওই কক্ষে যান। ১০ মিনিট পর জেল থেকে বেরিয়ে যান জেল সুপার রত্না রায়। পরে তুষার ও ওই নারী রত্না রায়ের কক্ষের দিকে যান। যাওয়ার সময় তুষার জড়িয়ে ধরেন নারীকে। কিছুক্ষণ পর তারা আগের কক্ষে ফিরে যান। ভেতরে তারা ৪৫ মিনিট সময় কাটান।

জানা গেছে, জেলার ও ডেপুটি জেলার দোষ দিচ্ছেন জেল সুপার রত্না রায়কে। ডেপুটি জেলার সাকলাইন ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, জেল সুপারের নির্দেশেই তিনি ওই নারীকে ভেতরে রিসিভ করেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ডেপুটি জেলার সাকলাইন, প্রধান কারারক্ষী ও একজন সুবেদারকে ক্লোজ করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। গঠন করা হয়েছে দু’টি তদন্ত কমিটি।

এর মধ্যে কারা অধিদপ্তরের গঠন করা কমিটিতে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেনকে প্রধান করা হয়েছে। বাকি দু’জন হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব ও কারা বিভাগের একজন ডিআইজি প্রিজন্স। অন্য কমিটি গঠন করেছে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের দপ্তর।

জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

সোনালীনিউজ/আইএ