খেলাপি ঋণসহ ৮ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত

ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে বসছেন গভর্নর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০২:৩৪ পিএম

ঢাকা : বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। বৈঠকে খেলাপি ঋণ কমানো, নয়-ছয় সুদহার কার্যকরসহ সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। ওই বৈঠকে অবলোপন নীতিমালা শিথিল করার জোর দাবি জানাবেন এমডিরা।

বৈঠকে ব্যাংকের সিকিউরিটি সার্ভিসেস, অবশোর ব্যাংকিং নীতিমালা সংশোধন, স্ট্যাম্প ডিউটি, ব্যাংকে শ্রম আইন প্রয়োগ, ইন্টারন্যাল ক্রেটিড রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) গাইডল্যাইন্স সংশোধন এবং পরিবর্তনের জন্য তাদের দাবি তুলে ধরবেন। এ ছাড়া হোমলোনের সীমা বাড়ানো এবং ঋণখেলাপি ও প্রভিশনিং নীতিমালা পরিবর্তনের দাবিও জানানো হবেৱ এবিবির পক্ষ থেকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার কমানো এবং খেলাপি ঋণ আদায় বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে এবিবির সভাপতি ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান টেলিফোনে বুধবার (৬ নভেম্বর) বলেন, আজ বিকালে সাড়ে ৩টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি ফলোআপ বৈঠক। ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ডিসেম্বরের পর থেকে নতুন করে খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। মাত্র ছয় মাসে তা বেড়ে জুন শেষে দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। এর বাইরে রয়েছে অবলোপনের আরো ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকের মালিকরা নয়-ছয় সুদহার কার্যকরের ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি। বরং সুদহার বাড়ছে।

সূত্র বলছে, ব্যাংকিং খাতে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে ঋণ অবলোপন। যা হিসাবে আনলে দেশে খেলাপি ঋণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ব্যাংকগুলো মূলত সাময়িকভাবে আর্থিক সূচক ভালো দেখাতে ঋণ অবলোপন করে থাকে। তবে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায় সন্তোষজনক নয়।

জানা গেছে, চলতি বছরই অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যাংকগুলো অর্থায়ন করছে। এর মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় তথ্য এসেছে। আজকের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই