হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০৩:৪৫ পিএম

দিনাজপুর: দিনাজপুরে চালের বাজার হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম ৫০ কেজির বস্তাতে বেড়েছে দেড়শ থেকে দুইশো টাকা। কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা। 

এ বিষয়ে চালকল মালিকরা বলছেন, সরকারের ক্রয় অভিযান এবং বাজারে ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে। পাইকারি আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও মিলারদের কারসাজির কারণে বেড়েছে দাম। দিনাজপুরের বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। 

৪২ টাকা কেজির মিনিকেট ৪৫ টাকায়, ৩৫-৩৬ টাকা কেজির আটাশ চালের দাম বেড়ে ৩৯ টাকা, ২৫-২৬ টাকার গুটি স্বর্ণা ২৮টাকা এবং ৫০ টাকার নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। স্বর্ণা প্রতিবস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১,৪৬০ টাকা আগে ছিল ১,৪০০ টাকা। গুটিস্বর্না প্রতিবস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১,৫৫০ টাকা আগে ছিল ১,৪৫০ টাকা। আটাশ চাল প্রতিবস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১,৯০০ টাকা আগে ছিল ১,৭৫০ টাকা। উনত্রিশ প্রতি বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫০ টাকা আগে ছিল ১৭০০ টাকা। মিনিকেট প্রতিবস্তাএখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকা আগে ছিল ২১০০ টাকা।

হঠাৎ করেই চালের এই মূল্য বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা ক্ষুব্ধ। একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে চালের দাম বাড়ায় কিনে খেত আমরা অক্ষম হয়ে যাচ্ছি। অপর একজন বলেন, সরকারের তো চালের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। নাইলে গরীবরা তো মারা যাবে।

এদিকে, চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ধানের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি চালকল মালিকদের কিছুটা কারসাজিও রয়েছে বলে মনে করেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। চালের মূল্য বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন বলেন, কৃষক ও মিলারদের নাজুক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে চালের দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিক ঘটনা।

তিনি আরো বলেন, 'কৃষক থেকে আমরা যারা চাল উৎপাদন করে ব্যবসা করি তারা একটা নাজুক অবস্থায় ছিলাম। আমরা কোনোভাবেই ব্যাংকের সুদ শোধ করে লাভ করতে পারছি না। এই মূল্য বৃদ্ধি আমাদের কিছুটা সহায়তা করবে।'

এদিকে, গবেষক ড. মাসুদুল হক বলছেন, হাটবাজারে ধান চালের প্রবাহ থাকা সত্বেও চালের দাম বাড়ে কিন্তু ধানের দাম বাড়ছে না। জেলায় এবার ২ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ মেট্রিক টন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ