তৈরি পোশাক শিল্পে ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা

করোনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নীতিবাচক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২০, ১১:৩৪ পিএম

ঢাকা : করোনা ভাইরাসের কারণে বড় অর্থনৈতিক ঝুঁকি নামক বিপদে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে রফতানি খাতসহ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থায়।

আর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পর জন্যও নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সাধারণ ছুটিতে গৃহবন্দী থাকতে হবে সারাদেশের মানুষকেই। জীবনযাত্রায় এই স্থবিরতা আভাস দিচ্ছে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষতির। এরইমধ্যে সবচেয়ে তৈরি পোশাক শিল্পে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরে ১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হারাবে বাংলাদেশ। চাকরি হারাবে অন্তত ৯ লাখ মানুষ। সঙ্কট মোকাবিলায় বেতন ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি হবেন না।

বিকেএমইর প্রথম সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাস বেতন ভাতা দেয়ার অবস্থা আমাদের করে দেন। সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাস লাভসহ বন্ধ থাকবে। এটা না হলে কোনো ধরনের কার্যকারিতা থাকবে না।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। অন্যদিকে রিজার্ভ কাজে লাগিয়ে ১ শতাংশ সুদে তহবিল গঠন, অগ্রিম কর ও ভ্যাট মওকুফের পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ডিসিসিআই।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দিতে না পারলে হুমকির মুখে পড়বে প্রান্তিক মানুষ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ মাসুম বলেন, ছোট যারা উদ্যোক্তা যারা এনজিওগুলো থেকে ঋণ নেয়। সেই এনজিওগুলোকে একটা বাউন্ডারি দিয়ে দেয়া; যাতে একটা নির্দিষ্ট রেট ছাড়া এর বেশি লাভ তারা না নিতে পারে।

আগামী বাজেটের জন্য তৃণমূলের মানুষকে রক্ষায় কম প্রয়োজনীর প্রকল্প বাদ দিয়ে সামাজিক সুরক্ষায় বেশি ব্যয় করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

সোনালীনিউজ/এমটিআই