ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন মারমা যুবক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২০, ০৭:৩২ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ঢাকা: ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছেন রাঙামাটির চাইথোয়াইঅং মারমা। এরপর থেকেই কষ্ট পিছু ছাড়েনি তার। পড়াশোনার সুযোগ হয় নি। তাই চাকরিও জোটেনি। কিন্তু স্বপ্ন তার অনেক বড়। কোনো উপায় না পেয়ে একটি মুরগির খামার দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন। বড় পুজির অভাবে ভালো করতে পারছিলেন না। কিন্তু ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে বদলে গেলো ওই মারমা যুবকের ভাগ্য। ওয়ালটনের কল্যাণে তিনি এখন মিলিয়নিয়ার, পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। যা দিয়ে ব্যবসা আরো বড় করবেন। কিছু টাকা জমিয়ে রাখবেন তার দুই মেয়ের জন্য।

শনিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রামের রাউজান ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে চাইথোয়াইঅং-এর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভা প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার আরিফ মঈনুদ্দীন, রাউজান প্লাজা ম্যানেজার খলিলুর রহমান এবং রাঙামাটি প্লাজা ম্যানেজার তায়্যেবুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। 

এর আগে সিজন-সেভেনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী এবং নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলাইমান হক।

চাইথোয়াইঅং মারমা জানান, তার বাড়ি রাঙামাটির কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়া সুগার মিল আদর্শ গ্রামে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের পরিবার তার। নিজেদের ব্যবহারের জন্য ৩০ জুন রাউজান ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। মাত্র ৩২,৫০০ হাজার টাকায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার ঘোর কাটছে না তার।

চাইথোয়াইঅং বলেন, ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারি। আমার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রায় সবাই ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছে। তাদের কাছে শুনেছি ওয়ালটন ফ্রিজ দামে সাশ্রয়ী এবং মানেও খুব ভালো। বাসায় আগে থেকেই ওয়ালটনের রাইস কুকার ব্যবহার করছি। ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এসব কারণে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু পছন্দের সেই ফ্রিজ কিনেই যে ভাগ্য বদলে যাবে, তা মোটেও ভাবি নাই। ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। 

জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রæত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ