ঢাকা: দীর্ঘ ১১ বছর পরে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের মূল বোর্ডে লেনদেন চলছে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার। ব্যবসায়িক সাফল্য ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর কোম্পানিটি লেনদেন শুরু করে।
রোববার (২৬ জুলাই) দেশের প্রধান দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি সোনালি পেপারের।
বিএসইসির দেয়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠিতে বলা হয়, যে কোন দিন থেকে সোনালী পেপারের লেনদেন মূল মার্কেটে চালু করতে পারবে। তবে কোম্পানিটির পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হবে।
কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার বা প্রাইস লিমিট লেনদেনের প্রথম কার্যদিবস থেকেই কার্যকর হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৭৩ টাকা থেকে শুরু হয়। ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে এবং পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পর্যন্ত ‘জেড’ ক্যাটেগরিতেই কোম্পানিটির লেনদেন হওয়ার শর্ত ছিল।
এর আগে বিএসইসির সম্মতির পর ৪ জুন ডিএসইর পর্ষদ সভায় মূল বাজারে পুনঃ তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়ে কোম্পানিটির লেনদেনের তারিখ ধার্য করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোনালি পেপারের লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ করল ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ফলে তালিকাচ্যুত হওয়ার ১০ বছরের বেশি সময় পর মূল বাজারের লেনদেন ব্যবস্থায় ফিরতে যাচ্ছে ওটিসির কোম্পানি সোনালি পেপার। ওটিসিতে যাওয়ার প্রায় ১১ বছর পর আজ থেকে আবার মূল মার্কেটে ফিরছে সোনালি পেপার। এর আগে ওয়াটা কেমিক্যাল ও আলিফ টেক্সটাইল ওটিসি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে পুনঃ তালিকাভুক্ত হয়েছে।
সোনালি পেপার ১৯৭৭ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ইউনুস গ্রুপ ২০০৬ সালে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে। সোনালি পেপার প্রিন্টিং পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ উৎপাদন করে। এর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা।
এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭৭৮ টাকা ৮৬ পয়সা।
সোনালীনিউজ/এলএ/এএস