ভেনিজুয়েলায় অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থা ঘোষণা

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০১৬, ০৫:০৭ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ৬০ দিনের জন্য অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ভেনিজুয়েলা। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ডিক্রি জারির মাধ্যমে দুই মাসের এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। খবরটি জানিয়েছেন বিবিসি ও রয়টার্সের।

জরুরী অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন এবং মুদ্রা স্থানান্তরের উপর আরও বেশি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের প্রথম ৯ মাসে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার ৪.৫ শতাংশ সংকোচন হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথ্য প্রকাশ করেছে।

এছাড়া এ সময়ে বার্ষিক হারে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৪১ শতাংশে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ঘটেছে দেশটিতে।

এ তথ্য প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট মাদুরো কংগ্রেসে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের কয়েক ঘণ্টা পূর্বে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তার দল।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থে বড় ধরনের ঝড়ের মুখে পড়েছি। এমন এক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তাতে ভেনিজুয়েলার প্রতিটি মানুষ ও প্রতিটি পরিবার এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

তেলের দর কমে যাওয়ার কারণে দেশটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে। দেশটির আয়ের ৯৬ শতাংশই তেলের উপর নির্ভরশীল। তেলের দাম কমে যাওয়ায় গত ১৮ মাসে দেশটির রাজস্ব আয় ৬০ শতাংশ কমেছে।

২০১৬ সালে দেশটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার কারণে দেশটির ঋণ পরিশোধ নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বৈদেশিক ঋণপত্রের বিপরীতে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের পরিশোধ করতে হবে দেশটিকে।

তেলের দর কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক দূরাবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে বলে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে বিরোধী দল এজন্য সরকারের অপরিপক্ক নীতিকে দায়ী করেছে। সাংবিধানিক উপায়ে চলতি বছরের মধ্যে মাদুরোর বিদায় নিশ্চিত করার কথাও বলেছে তারা।

সরকারের সমালোচক ও অর্থনীতিবিদ লুইস অলিভেরস অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থা জারির সমালোচনা করে টুইট বার্তায় বলেছেন, কোনো স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া এ ধরনের জরুরী অবস্থা ঘোষণার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন