সবজির বাজারে স্বস্তি, স্থিতিশীল মাছ-মাংস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২০, ১২:১৪ পিএম

ঢাকা: শীতকালীন সবজি চলে আসায় রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমেছে দাম। এরই মধ্যে বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। 

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজিতে দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০টাকা পর্যন্ত।

সরকারের বেঁধে দেয়া আলুর দাম লক্ষ্য করা যায়নি খুচরা বাজারে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। নতুন আলুর দাম বিদায়ী সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ছিলো যা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপির আকার ভেদে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৫০-৭০ টাকা। শিম জাত ভেদে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৩০  টাকা, মুলা ও বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ২০থেকে ৩০ টাকা। কাঁকরোলের কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের কেজি ৪০  টাকা। কাঁচা মরিচ ১৪০- ১৬০ টাকা কেজি। গাজর ৩০-৫০টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ২০-৩০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছে, এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে কয়েকমাস আগে থেকে সবজির দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাজারে যোগান পযাপ্ত থাকায় দাম আগের মতো আছে। দাম কমা বা বেশির সাথে আমাদের হাত নেই। আমরা যে দামে ক্রয় করি তার থেকে কিছু বেশি দামে বিক্রি করে। কিছু লাভ না করলে আমরা চলবো কিভাবে। 

বর্তমানে বাজারে মোট চার ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। চীনা ও তুরস্কের পেঁয়াজের দাম মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মান ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চীনা রসুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। আদার দাম মান ভেদে ৮০-১২০।

কাওরানবাজার ঘুরে দেখা যায়, বয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৪০০- ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদায়ী সপ্তাতের মুরগীর দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা কম-বেশি হয়।

মাংস বিক্রেতার জানান, বাজারে সবজিসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। 

গরুর মাংস ৫৭০-৫৮০ টাকা প্রতি কেজি, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/আইএ