সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৩ গুন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম

ঢাকা: এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, মুরগি, ডিম ও কাঁচা মরিচসহ দাম বেড়েছে অনেক নিত্যপণ্যের। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে আকাশচুম্বী। সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম বেড়েছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।

বৃষ্টিতে মরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।  তাদের মতে, অনেকের মরিচ গাছ পানিতে পচে গেছে। মরিচের দাম বাড়ার এটাই একমাত্র কারণ। বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে মরিচের দাম আরও বাড়বে বলে জানান তারা।

আজকে বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। আর পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। গত সপ্তাহে মোটা চলের কেজি ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। আর নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে চাল ব্যবসায়ীর বলছে, ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট।

সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে থেকে ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে হাঁসের ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন আগের দামে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস আগের মতোই ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা।

সোনালীনিউজ/এমএইচ/এমটিআই