কানাডার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ০৮:১৯ পিএম

ঢাকা: কানাডার ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের সুবিধা গ্রহণ করে এদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। 

কানাডায় বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডা কর্তৃক গত ১৩ সেপ্টেম্বর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফারুক হাসান এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডা এর সভাপতি এইচ এম ইকবাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টরেন্টোতে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল এর কন্সাল জেনারেল নায়েম উদ্দীন আহমেদ ও বিজিএমইএ এর পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব উপস্থিত ছিলেন।

এসএময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ কোনভাবেই আর দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ নয়। বরং দেশটি তার ধারাবাহিক এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন কর্মক্ষমতা দিয়ে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে একটি মযাদাপূর্ন অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ফারুক হাসান কানাডাসহ পৃথিবীর সকল প্রান্তে বসবাসকারী অনাবাসী বাংলাদেশীদেরকে তাদের বসবাসের দেশে “মেইড ইন বাংলাদেশ” ব্র্যান্ডের প্রচারে এগিয়ে আসার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, কানাডায় বসবাসরত অনাবাসী বাংলাদেশীরা তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে, বিশেষ করে যারা বসবাসের দেশগুলোতে প্রভাবশালী অবস্থানে/পদে রয়েছেন, তারা বাংলাদেশের স্বার্থ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারেন। 

বিজিএমইএ সভাপতি উচ্চ মূল্য সংযোজন (হাই ভ্যালুড-এডেড) ও নন-কটন টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। 

ম্যান মেইড ফাইবারভিত্তিক ইয়ার্ন ও ফেব্রিক্স, বিশেষ করে পলিয়েস্টার, ভিসকোস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জ এর মতো কৃত্রিম ফাইবার খাতে বিনিয়োগের যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, তা তিনি বলেন। তিনি হাই-এন্ড পোশাক আইটেমে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করেন।

ফারুক হাসান বলেন, বস্ত্রখাতের বাইরে আরও অনেক সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের অপার সুযোগ রয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশে আমদানি প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং শিল্পের পরিপূরক হতে পারে, যেমন খুচরা যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি, এমনকি হালকা প্রকৌশল. পাট, চামড়া, ঔষধ, সিরামিকস, ও জাহাজ নির্মান শিল্প। 

তথ্য ও প্রযুক্তি খাতও বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আদর্শ ক্ষেত্র বলে মত প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। 

নতুন প্রযুক্তি গ্রহন ও তা অব্যাহত রাখার সাথে সঙ্গতিপূর্ন অর্থনীতি (ইকোনোমিক ভায়াবিলিলিটি), মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, জনতাত্ত্বিক লভ্যাংশ ও  এখানকার ইকোসিস্টেম সবকিছুই বিনিয়োগের পক্ষে বলে তিনি জানান।

সোনালীনিউজ/এমএইচ