জুলাই-নভেম্বরে পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২২.৯ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১, ০৭:০৪ পিএম

ঢাকা: গত অর্থবছরের (২০২০-২০২১) জুলাই-নভেম্বর এর তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের (২০২১-২২) জুলাই-নভেম্বর মাসে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ। 

রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

তথ্যমতে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পোশাক রপ্তানি ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যার মধ্যে নীটওয়্যার খাতে প্রবৃদ্ধি ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি ৩১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

গত তিন মাসের প্রবৃদ্ধির ধারা ইতিবাচক হলেও এই প্রবৃদ্ধি স্থায়ী নাও হতে পারে। কারন কোভিড জনিত লক-ডাউন শিথিল করার কারনে বিগত মাসগুলোতে পোশাকের ব্যবহার ও চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

যদি আমরা ২০২১ এর নভেম্বর মাসের রপ্তানি আয়ের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যায় এ সময়ে ৩.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, অর্থাৎ ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে রপ্তানির পরিমান ছিল ২.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা ২০২১ সালের অক্টোবরে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছি এবং নভেম্বরে সেটি ৩.২ ডলারে নেমে এসেছে। যদিও আমরা সাধারনত একই বছরের পর পর মাসের রপ্তানির মধ্যে তুলনা করি না, কেননা এটি অনেক সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।

টেক্সটাইল, ডাইস ও রাসায়নিকসহ অন্যান্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া দরকার। ফ্রেইট খরচ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটা স্পষ্ট যে রপ্তানি মূল্যের যে আপাত বৃদ্ধি হয়েছে তা মূলত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি জনিত ব্যয়কে সমন্বয় করেছে। সুতরাং যে রপ্তানী  প্রবৃদ্ধি আমরা দেখতে পাচ্ছি তা কোনও ভাবেই প্রকৃত প্রবৃদ্ধি নয়।

যদিওবা বিগত কয়েক মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এটি ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের কারখানাগুলো অতিমারীর ক্ষয়ক্ষতি এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অমিক্রণ নামক নতুন ভ্যারিয়েন্টের আগমনে বৈশ্বিক অর্থনীতি ইতিমধ্যেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই ক্রেতারা সতর্ক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে, এটি বলার অঈেক্ষা রাখে না যে সময়ের সাথে সাথে এই কড়াকড়ি আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো তাদের খুচরা বাজারের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশ ভাল সময় নিবে, যা আমাদের জন্য বড় দুঃশ্চিন্তার কারন। গত বছরের মত এই বছরেও বড়দিনের বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কারখানাগুলো তাদের উৎপাদন চালিয়ে নিতে হুমকির মধ্যে পড়বে।

পরিশেষে, এটি অবশ্যই অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, বিগত কয়েক মাসে আমরা রপ্তানির প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কোন ভাবেই প্রকৃত অবস্থা ভুল ব্যাখ্যার কোন সুযোগ নেই। বরং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সামনের দিনগুলোতে যেকোন ধরনের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমাদের অতি সতর্ক হতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচ